Alhaj Mostafizur Rahman College

Upazila-Lohagara,Chattogram

EIIN:104588, N.U.CODE:4355, College Code:3927
Notice
একাদশে বিভিন্ন বিভাগে বিশেষ ছাড়ে ( ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন ) ভর্তি চলছে || This site is under developing by www.aaronweb.com || অনলাইনে এইচ,এস,সি বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি চলছে || অনার্সে ( হিসাববিজ্ঞান,ব্যবস্থাপনা,অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে) রিলিজ স্লিপে ভর্তি চলছে

কলেজের ইতিহাস

আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

চট্টগ্রাম জেলার পীর-আউলিয়ার পূণ্যভূমি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা একটি উপজেলার নাম লোহাগাড়া। এ উপজেলার মাঝখানে চলে গেছে অর্থনৈতিক মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার। উপজেলাটির প্রাণকেন্দ্রের সওদাগর পাড়ায় দেশের স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান মোস্তফা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দেশ বরেণ্য শিল্পপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান সওদাগর এর জন্মভুমি। এই গুণীজন শিল্প বিস্তারের পাশাপাশি শিক্ষা বিস্তারেও অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের নিকট শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে তিনি উপজেলা সদরে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনি উপজেলা সদরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে একক অর্থায়নে  অর্থাৎ তৎকালিন পাঁচ কৌটি ব্যায়ে ১৯৯৫ সালের ২৭ জানুয়ারীতে আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কলেজের জন্য তিন একর জমি দান করেন।

কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইলিয়াছ সম্পাদিত ” আলোকিত ব্যাক্তিত্ব আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান” গ্রন্থ থেকে জানা যায়, শিল্পপতি আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান ও তাঁর সহধর্মিনী মহিয়সী নারী মোস্তফা বেগম-এই দুই জনের    নামের     সমন্বয়ে আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান কলেজের নামকরণ হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পেছনে প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের পঞ্চম সুযোগ্য সন্তান আলহাজ্ব শফিক উদ্দীনের অনন্য ভুমিকা ছিল।

প্রথমে উপজেলা সদর তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বটতলী মোটর স্টেশনে কলেজ চালু করার পরিকল্পনা করা হয়। এখানের মোস্তফা মার্কেটের ভিতরে একপাশে সাময়িকভাবে ক্লাস রুম তৈরী করা হয়। পরে অস্থায়ীভাবে লোহাগাড়া উপজেলা সদরের শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি দ্বিতল ভবনে কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা হয়।

পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামান্য উত্তরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে ঐ সময়ের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করে শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম শিফট করা হয়। এই দৃষ্টি নন্দন ভবন উদ্বোধন করেন তৎকালীর বিএনপি সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ।

কলেজটি ১৯৯৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৫-’৯৬ ইং শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৯৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর দ্বাদশ শ্রেণি খোলাসহ উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৫ সালের ২৩ শে সেপ্টম্বর প্রথম শ্রেনী কার্যক্রম আরম্ভ হয়।

 

১৯৯৭ সালে অত্র কলেজে প্রতিষ্ঠিত হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র। ১৯৯৭-’৯৮ ইং শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি (পাস) কোর্সে বি.এ, বি,এস,এস ও বি,কম চালুর মাধ্যমে কলেজটি ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীত হয়। ২০০০-২০০১ ইং শিক্ষাবর্ষ থেকে বি-এসসি (পাস) কোর্স চালুকরণের মধ্য দিয়ে কলেজটি একটি পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি কলেজে উন্নীত হয়। ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয় ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষা কেন্দ্র। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারীতে কলেজটি এম.পি.ও. ভ‚ক্তি লাভ করে। ২০১২-২০১৩ ইং শিক্ষাবর্ষ থেকে হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স কোর্স ও ২০১৬-২০১৭ ইং শিক্ষাবর্ষ থেকে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়।
বর্তমানে কলেজে পাচঁতলা বিশিষ্ট ২টি দৃষ্টি নন্দন ও সরকার কর্তৃক প্রদত্ত একটি দৃষ্টি নন্দন ভবন রয়েছে। ঊভয় ভবনে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভবনগুলোতে সু-রক্ষিত অধ্যক্ষ- উপাধ্যক্ষ রুম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, শিক্ষক মিলানয়তন, অফিস কক্ষ, ছাত্রী মিলনায়তন, বিজ্ঞান ল্যাব, সমৃদ্ধ মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম,সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব, সমৃদ্ধ লাইব্রেরী ,অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া রুম  ও  শিক্ষক ডরমেটরী রয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজটি রাজনীতি-ধুমপানমুক্ত ও শিক্ষা-বান্ধব পরিবেশ বিদ্যামান। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কলেজের প্রধান ফটক থেকে ভিতরের অভ্যন্তরীন ফটক পর্যন্ত কলেজ সড়কের উভয় পাশের সৃজিত দেবদারু গাছ প্রতিষ্ঠানটির সৌন্দর্য্যকে আরও ফুটিয়ে তুলেছে। এই মহাসড়কে  যাতায়াতকারী  যাত্রীরা বিরাজমান সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হয়।

প্রতিষ্ঠানটির একটি দক্ষ কলেজ গভর্ণিং বডি রয়েছে। বর্তমানে কলেজ গর্ভর্নিং বডির মান্যবর সভাপতি প্রতিষ্ঠাতার সুযোগ্য সন্তান আলহাজ্ব শফিক উদ্দিন।
তথ্য-সূত্র: মোহাম্মদ ইলিয়াছ, সহকারী অধ্যাপক
আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান কলেজ, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।